Views
যেহেতু ব্লগার প্লাটফর্মটা আমাদের অনেকের কাছে নতুন তাই আমি মনে করে কিছু জিনিস ব্যাখ্যা করা হলে সুবিধা হবে, বিশেষত পোস্ট করার ব্যাপারে। তো, আজাইরা কথা বন্ধ করে কাজের কথায় আসি 😃.
ব্লগারে পোষ্ট করার জন্য এডমিন প্যানেলে রয়েছে। ঢুকলেই সবার উপরের দিকে মাঝখানের অংশে।
এটাতে ক্লিক করলে পরবর্তীতে নতুন একটা পেজ আসবে। একবারে উপরের ছবিটার মত। তো পোষ্ট করার অংশ টা ব্যাখ্যা করার জন্য ছবিতে কিছু জিনিস পয়েন্ট করে দিয়েছি সেই অনুযায়ী ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। ১৬টা পয়েন্ট দেখে ব্রাউজারে ট্যাব টা ক্লোজ করে দিবেন না 😜, যথা সম্ভব সহজ করে বুঝানোর চেষ্টা করব।
যেই পোষ্টটি করব সেই সম্পর্কিত কীওয়ার্ড গুলো লেবেল হিসাবে রাখতে পারি। পোষ্টটা যদি হয় ওয়েবসাইটের সমস্যা নিয়ে তাহলে ছবির মত দুইটা কীওয়ার্ড ব্যাবহার করা যেতে পারে । কী ওয়ার্ড ব্যাবহারে কোন সীমা পরিসীমা নেই। কমা ব্যবহার করে একের অধিক কীওয়ার্ড লেখা যাবে।
যেকোনো একটাতে ক্লিক করলে সাইজ পরিবর্তন হয়ে যাবে। এছাড়া এসইও এর জন্য আরেকটা জিনিস করা ভাল সেটা হচ্ছে অল্ট টেক্সট (Alt Text) এটা অ্যাড করা। এর জন্য প্রপার্টিতে ক্লিক করতে হবে তাহলে ছবির টাইটেল আর অল্ট টেক্সট যোগ করার অপশন চলে আসবে।
পোস্টটি যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করেছি। কমেন্টের উপর ভিত্তি করে পোস্টটি আপডেট করার চেষ্টা করব। কারণ কিছু জিনিস ব্যাখ্যা করা বাদ পরতেই পারে 😃।
পোস্টটির কোন অংশ বুঝতে না পারলে নিচে কমেন্ট করুন, ধন্যবাদ 😊।
যেহেতু ব্লগার প্লাটফর্মটা আমাদের অনেকের কাছে নতুন তাই আমি মনে করে কিছু জিনিস ব্যাখ্যা করা হলে সুবিধা হবে, বিশেষত পোস্ট করার ব্যাপারে। তো, আজাইরা কথা বন্ধ করে কাজের কথায় আসি 😃.
ব্লগারে পোষ্ট করার জন্য এডমিন প্যানেলে রয়েছে। ঢুকলেই সবার উপরের দিকে মাঝখানের অংশে।
এটাতে ক্লিক করলে পরবর্তীতে নতুন একটা পেজ আসবে। একবারে উপরের ছবিটার মত। তো পোষ্ট করার অংশ টা ব্যাখ্যা করার জন্য ছবিতে কিছু জিনিস পয়েন্ট করে দিয়েছি সেই অনুযায়ী ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। ১৬টা পয়েন্ট দেখে ব্রাউজারে ট্যাব টা ক্লোজ করে দিবেন না 😜, যথা সম্ভব সহজ করে বুঝানোর চেষ্টা করব।
১।Compose
এই বাঁটন টা অ্যাক্টিভ থাকলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে যেভাবে ডকুমেন্ট লেখি সেভাবে পোষ্ট লেখা যাবে।
২।HTML
এই বাঁটনটাতে ক্লিক করলে এইচটিএমএল মোড অ্যাক্টিভ হবে, অর্থাৎ এখানে এইচটিএমএল কোডের মাধ্যমে পোষ্ট লিখা যাবে বা কম্পোজ মোডে লিখা পোষ্ট এখানে এইচটিএমএল ট্যাগ বসিয়ে এডিট করা যাবে।
যেমনঃ কোন লেখা যদি এমন করতে চাই
এর জন্য কম্পোস মোডে cd লেখার পর এইচটিএমএল মোড অ্যাক্টিভ করে লেখটার উপর এবং নিচে blockquote ট্যাগ টা বসিয়ে দিতে হবে।৩।Post Title
এখানে কিছু বলার নেই 😁। ধরে নিয়েছি বুঝে গেছেন 😉।
৪।Editing Area
এই অংশটা অনেকটা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মত, মানে পোষ্টকে নিজের মত করে সাজিয়ে নেয়ার জন্য। যেমনঃ পোস্টের মাঝে ছবি বসানো, লেখা ছোট বড় করা, লিংক যোগ করা, ভিডিও অডিও যোগ করা ইত্যাদি...।
এর মধ্যে একটার কাজ একটু ভাল ভাবে জেনে নেই। যেমনঃ ব্লগারে Read More বাটন কিভাবে যোগ করব।
সাধারণত হোম পেজে যত পোষ্ট থাকে তার পুরোটা কিন্তা সেখানে দেখা যায় না। পোস্টের টাইটেলে বা Read More বাটনে ক্লিক করলে পুরো পোষ্টটের অংশটা আসে। তাহলে এটা কিভাবে করে,
ব্লগার পোস্টে এটা আনার জন্য একটা বাটন দিয়ে দিয়েছে,যার নামে পেজ ব্রেক।
একটা ছবি যোগ ও লিখার জিনিস লিখার পর তারপর যদি পেজ ব্রেকে ক্লিক করা হয় তাহলে একটা লম্বা লাইন যোগ হবে পোষ্টের নিচে । এই লাইনের উপরে যা থাকবে তা শুধু হোম পেজে দেখা যাবে, পুরো অংশটা পোষ্ট টাইটেল বা Read More এ ক্লিক করলে আসবে অর্থাৎ লাইনের নিচের সব অংশ সহ।
(নোটঃ যদি এই পেজ ব্রেকটি পোষ্টে না দেয়া হয় তাহলে পুরো পোষ্টটা হোম পেজে চলে আসবে। যা দেখতে কিছুটা বেমানান লাগবে। তাই এটা দেয়া ভাল।)
৫।Post Area
এই অংশটা হচ্ছে পোষ্ট লেখার জন্য যেখানে পোষ্টের সব কিছু থাকবে।
৬।Publish
একটা পোস্ট লেখার পর ব্লগে ভিসিটর অংশে / ফ্রন্ট এন্ডে পোস্টটা আনার জন্য এই বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে।
৭।Save
যেকোনো জিনিস কাজ করার সাথে সাথে সংরক্ষণ করে রাখা ভাল । ব্লগার যদিও পোস্ট লেখার একটু পর পর নিজে থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ হতে থাকে তার পর সাবধানের মার নেই 😌।
৮।Preview
একটা পোষ্ট লেখার পর, ব্লগে পোষ্টের ভিউটা কেমন দেখাবে, সেটা দেখা যাবে এর মাধ্যমে। এতে সুবিধা হল পাবলিশ করা লাগবেনা ,পাবলিশ করা ছারাই পোস্টটা দেখা যাবে।
৯।Close
পোষ্ট সংরক্ষণ করার পর যদি ক্লোজ বাঁটনে ক্লিক করে
কেউ বের হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তীতে আবার সংরক্ষণ করা লেখা থেকে শুরু করা
যাবে। এবং আর্টিকেল গুলো ড্রাফ্টে গিয়ে সংরক্ষণ হবে। সেখানে থেকে এডিটে
ক্লিক করে আবার পোষ্ট লেখা শুরু করা যাবে।
১০।Labels
ব্লগে পোষ্ট গুলো বিভিন্ন মেনুর আন্ডারে আনার জন্য লেবেলটা ব্যাবহার করা হয়।
লেবেলস গুলো কি হবে ?যেই পোষ্টটি করব সেই সম্পর্কিত কীওয়ার্ড গুলো লেবেল হিসাবে রাখতে পারি। পোষ্টটা যদি হয় ওয়েবসাইটের সমস্যা নিয়ে তাহলে ছবির মত দুইটা কীওয়ার্ড ব্যাবহার করা যেতে পারে । কী ওয়ার্ড ব্যাবহারে কোন সীমা পরিসীমা নেই। কমা ব্যবহার করে একের অধিক কীওয়ার্ড লেখা যাবে।
১১।Schedule
বিশেষ কোন সময় পোস্টটা পাবলিশ করতে চাইলে তাও করা যাবে। তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে। সাথে সাথে পাবলিশ করতে চাইলে অটোমেটিক অপশনটিতে রেখে দিতে হবে।
১২।Links
পোস্টের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটা পোস্ট পাবলিশ করার পর সেটার ইউআরএল এড্রেসটা ফ্রেন্ডলি হওয়া প্রয়োজন (URL needs to be friendly)। এখানে যদি অটোমেটিক অপশন টা রেখে দিয়ে তাহলে পোস্টের লিংকটা, পোস্ট টাইটেলের উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে লিংকটা ফ্রেন্ডলি হওয়ার সম্ভবনা অনেক কম। কারণ পোস্টটিতে যদি বাংলা ব্যাবহার করা হত তাহলে এলোমেলোভাবে কিছু ওয়ার্ড দ্বারা পোস্টের লিংকটা তৈরি হত।
সেক্ষেত্রে পোস্টের লিংকটা এসইও (Seo) ফ্রেন্ডলি হতো না সোজা কথায় এই পোস্ট পেজটি গুগলের শুরুর দিকে থাকার সম্ভবনা কমে যাবে, এতে ভিসিটর আসার সম্ভবনাও অনেক কমে যাবে।
তাই কাস্টম অপশনটা ব্যাবহার করাই ভাল। এতে নিজের মত করে পোস্টের লিংকটা তৈরি করা যায়। বক্সের ভিতর পোস্টের লিংকটা যেমন চাই সেভাবে লিখতে পারব।
কাস্টম পারমালিঙ্কের দ্বারা ভিসিটরের আসার সম্ভবনা অনেকে বেরে যায়। কারণ এই ধরনের কীওয়ার্ড যদি কেউ গুগলে লেখে তাহলে এই পোস্টটা আসার সম্ভবনা থাকে বেশি অটো তৈরি হওয়া পেজের লিংকের থেকে।
১৩।Location
এটা আমি আসা করি বুঝতে পেরেছেন 😉।
১৪।Search Description
এখানে পোস্টের একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে হবে, সারাংশের মত। এর মাধ্যমে গুগলের পেজ ক্রমটা অনেকে গুন বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এসইও এর জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।
১৫।Options
পোস্টে যদি চাই রিডার/ ভিসিটরের মন্তব্য করা বন্ধ করে দিব, সেটা এখান থেকে বন্ধ করা যাবে। এছারা আরও কিছু অপশন আছে যেগুলো ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
১৬।Custom Robots Tags
এটা নিয়ে এখন না জানলেও হবে। পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। মূলকথা পোষ্ট করার ব্যাপারে এটারও ততটা গুরুত্ব নেই।অতিরিক্ত কিছু অংশঃ
ব্লগারে এডিট এরিয়ার মাধ্যমে একটা ছবি অ্যাড করলে, ছবিটার সাইজ একটু ছোট হয়ে পোস্ট এরিয়াতে আসে। এটা চাইলে বড় করা যায়। এর জন্য ছবিতে ক্লিক করলে অপশন চলে আসবে নিচের মত (Small, Medium etc..)।যেকোনো একটাতে ক্লিক করলে সাইজ পরিবর্তন হয়ে যাবে। এছাড়া এসইও এর জন্য আরেকটা জিনিস করা ভাল সেটা হচ্ছে অল্ট টেক্সট (Alt Text) এটা অ্যাড করা। এর জন্য প্রপার্টিতে ক্লিক করতে হবে তাহলে ছবির টাইটেল আর অল্ট টেক্সট যোগ করার অপশন চলে আসবে।
পোস্টটি যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করেছি। কমেন্টের উপর ভিত্তি করে পোস্টটি আপডেট করার চেষ্টা করব। কারণ কিছু জিনিস ব্যাখ্যা করা বাদ পরতেই পারে 😃।
পোস্টটির কোন অংশ বুঝতে না পারলে নিচে কমেন্ট করুন, ধন্যবাদ 😊।